রাখী বন্ধনে মানবিক বন্ধন : অসহায় যুবকের পাশে মানবতার স্পর্শ

22nd August 2021 6:48 pm হুগলী
রাখী বন্ধনে মানবিক বন্ধন : অসহায় যুবকের পাশে মানবতার স্পর্শ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : শুরুটা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জাতপাত নির্বিশেষে সংহতির বার্তা নিয়ে মানুষে মানুষে মৈত্রতার বন্ধনে রাখী বন্ধনের সূত্রপাত। সেই সময়ের পর থেকে ভাতৃত্বের বন্ধনে মানুষের সম্পর্ক গুলোকে এক সুন্দর মূহুর্তে বেধে রাখার নাম রাখী বন্ধন। করোনা মহামারি সময়ে আর্ত অসহায় মানুষের ও সাধারন মানুষের মধ্যে এক সম্পর্ক স্থাপনে এগিয়ে এলো শেওড়াফুলি বেশ কয়েক জন যুবক। রাখী বন্ধন মানে যে ভাই বোনেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ  তাই না। সেটা আবার প্রমান করলেন শেওড়াফুলির যুবকরা। গত এক সপ্তাহ ধরে শেওড়াফুলি স্টেশনের পাঁচ- ছয় নম্বর প্লাটফর্মের সামনের সিঁড়ির মধ্যে বসে থাকতে  দেখেন এক যুবককে। মাঝে মধ্যে তার হাতে খাবারও তুলে দিয়েছেন  তারা। প্রত্যেকদিন সকাল বিকাল খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। যুবকদের পক্ষ থেকে নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে এক কথায় উত্তর কৃষ্ণনগরে থাকি। আজ রাখী বন্ধন উৎসব থাকায় নিজেদের টাকায় দুপুরের খাবার এবং রাখী কিনে শেওড়াফুলি স্টেশন চত্তরে সহ শেওড়াফুলি জিটি রোডের পাশে অসহায় মানুষের হাতে রাখী এবং দুপুরের খাবার তুলে দিলেন তারা। বিশ্বজীত রায় বলেন আমাদের কাজ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যতদিন পারবো করে যাবো।আশা করি রাখিবন্ধনের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক  গুলো অক্ষুন্ন থাকবে এমনটাই আশা করা যায়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।